হিংসা: একটি নিষিদ্ধ অনুভূতি যা আমাদের সমাজকে প্রভাবিত করে

.র্ষা এটি মানবজাতির প্রাচীনতম এবং সর্বজনীন আবেগগুলির মধ্যে একটি, তবে এটি সবচেয়ে কম প্রকাশ্যে স্বীকৃত। এটি একটি নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ আমরা ঈর্ষা অনুভব করি তা মেনে নেওয়ার অর্থ হল একটি অনুভূতি স্বীকার করা হীনমন্যতা অন্যের সামনে

হিংসা কী এবং এটি ঈর্ষা থেকে কীভাবে আলাদা?

প্রায়ই দ্বেষ এবং সন্দেহ এগুলি প্রায়শই বিভ্রান্ত হয়, তবে তাদের মধ্যে মূল পার্থক্য রয়েছে। ঈর্ষা তখনই হয় যখন কেউ অন্য ব্যক্তির যা আছে তা দখল করতে চায়, তা সে বস্তুগত বস্তু, একটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য, একটি পেশাদার সাফল্য অথবা একটি সম্পর্ক। অন্যদিকে, ঈর্ষা তখনই দেখা দেয় যখন একজন ব্যক্তি মনে করেন যে তিনি এমন কিছু হারাতে পারেন যা তার কাছে ইতিমধ্যেই আছে।

সমাজবিজ্ঞানী হেলমুট শোয়েক ঈর্ষাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন একটি নির্দেশিত আবেগ; একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া এটির অস্তিত্ব থাকতে পারে না। ঈর্ষা ফোকাস করে অভাব এবং অন্যদের যা আছে তার আকাঙ্ক্ষা, অন্যদিকে ঈর্ষা একজনের ইতিমধ্যে যা আছে তার হুমকির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

সমাজে হিংসার নিষেধাজ্ঞা

হিংসা গ্রহণ করা কঠিন কারণ এর মধ্যে নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করা এবং অনুভূতি স্বীকার করা জড়িত হীনমন্যতা. যেসব সমাজে সাফল্য এবং প্রতিযোগিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে হিংসা স্বীকার করাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর অনস্বীকার্য উপস্থিতি সত্ত্বেও, আমরা হিংসা স্বীকার করতে এবং খোলাখুলিভাবে কথা বলতে অনিচ্ছুক।

সংস্কৃতি হিংসাকে নিরপেক্ষ করার জন্য প্রক্রিয়া তৈরি করেছে, যেমন "" ধারণাটিসুস্থ ঈর্ষা» অথবা অন্যদের মধ্যে বিরক্তি জাগানো এড়াতে ব্যক্তিগত অর্জনগুলিকে ছোট করে দেখার অভ্যাস। উদাহরণস্বরূপ, বিবাহ অনুষ্ঠানে, তোড়া ছুঁড়ে দেওয়ার ঐতিহ্য একটি প্রতীকী কাজ যা অবিবাহিত মহিলাদের ঈর্ষা প্রশমিত করার চেষ্টা করে।

হিংসাকে কেন নেতিবাচক কিছু হিসেবে দেখা হয়?

প্রাচীনকাল থেকেই হিংসাকে একটি ধ্বংসাত্মক আবেগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। খ্রিস্টধর্মে, এটি সাতটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত মারাত্মক পাপ. কেইন এবং আবেলের মতো গল্পে এর উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে হিংসাকে মানুষের মধ্যে বিবাদের কারণ হিসেবে কীভাবে দেখা হয়েছে। মানুষ নিজের হিংসার মতোই অন্যের হিংসার পরিণতিকে ভয় পায়।

অধিকন্তু, হিংসা এমন কোনও আবেগ নয় যার আত্মপক্ষ সমর্থন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য। রাগ বা দুঃখ নির্দিষ্ট কারণ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, হিংসা ঈর্ষান্বিত ব্যক্তির আত্মসম্মান বা ব্যক্তিগত সাফল্যের অভাব নির্দেশ করে। এর ফলে অনেক মানুষ ঈর্ষা অনুভব করার সময় "আমি তাদের পছন্দ করি না" বা "আমি তাদের পছন্দ করি না" এর মতো যুক্তিবাদী বক্তব্যের আশ্রয় নেয়।

মনোবিজ্ঞান এবং বিবর্তনে ঈর্ষা

কিছু মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্ব অনুসারে হিংসার একটি বিবর্তনীয় উৎপত্তি. আদিম সমাজে, যারা অন্যদের কাছে কী আছে সে সম্পর্কে বেশি সচেতন ছিল, তাদের খাদ্য এবং সঙ্গীর মতো প্রয়োজনীয় সম্পদের জন্য লড়াই করার সম্ভাবনা বেশি ছিল। এই প্রবৃত্তি আজও বিদ্যমান। আমরা নিজেদের তুলনা করি তাদের সাথে যারা আমাদের মতো একই অবস্থানে আছে, এবং তাদের সাথে খুব বেশি নয় যাদের এমন সুবিধা আছে যা খুব বেশি অপ্রাপ্য। একজন সহকর্মী যিনি বেতন বৃদ্ধি পেয়েছেন তার চেয়ে ঈর্ষা করা বেশি সাধারণ কোটিপতি যার সম্পদ অপ্রাপ্য।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হিংসা কীভাবে প্রকাশ পায়?

ঈর্ষা খুব কমই প্রকাশ্যে প্রকাশ করা হয়, কারণ এটিকে ভ্রুকুটি করা হয়। পরিবর্তে, এটি প্রায়শই ছদ্মবেশে দেখা যায় যেমন:

• ধ্বংসাত্মক সমালোচনা: অন্য ব্যক্তির কৃতিত্বকে ছোট করে দেখানো, যাতে তার মূল্য হ্রাস পায়।
• স্বীকৃতির অভাব: অন্যের সাফল্যের প্রশংসা করা বা ছোট করা এড়িয়ে চলুন।
• মানসিক দূরত্ব: এমন কারো সাথে মিথস্ক্রিয়া কমিয়ে দিন যিনি আমাদের কাঙ্ক্ষিত কিছু অর্জন করেছেন।
• গুজব এবং গুজব: বিরক্তি বশত কারো সম্পর্কে নেতিবাচক বা অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া।

হিংসা কি ইতিবাচক হতে পারে?

যদিও ঈর্ষার সাধারণত নেতিবাচক অর্থ থাকে, এটি একটি স্ব-উন্নতি ইঞ্জিন. যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে এটি আমাদের এমন একটি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে যেখানে আমরা মনে করি অন্যরা আমাদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে, যখন একজন ব্যক্তি ক্রমাগত নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করে এবং সেই লক্ষ্যগুলি অর্জনে ব্যর্থ হয়, তখন এই ধরনের হতাশা কখনও কখনও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

হিংসাকে গঠনমূলকভাবে পরিচালনা করার কিছু উপায়ের মধ্যে রয়েছে:

• এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করা: অন্যের সাফল্যে বিরক্ত না হয়ে, তা থেকে শিক্ষা নিন।
• পরিবর্তনের তুলনা: অন্যদের কী আছে তা দেখার পরিবর্তে, নিজের বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করুন।
• কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করুন: আমাদের নিজস্ব অর্জন এবং শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেওয়া।

অন্যের হিংসা থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবেন

যদি তুমি অন্যদের ঈর্ষার শিকার হও, তাহলে এটা কীভাবে সামলাতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কৌশলের মধ্যে রয়েছে:

• অর্জনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন: সাফল্য উপভোগ করার জন্য আপনাকে বড়াই করতে হবে না।
• উস্কানির জবাব দেবেন না: সংঘাতের ইন্ধন জোগানোর চেয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য উপেক্ষা করা ভালো।
• নম্রতা বজায় রাখুন: অন্যদের ছোট না করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং নিজের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিন।

হিংসা এমন একটি আবেগ যা আমরা সকলেই কোন না কোন সময়ে মোকাবেলা করি। সমস্যাটা এটা অনুভব করা নয়, সমস্যাটা হলো আমরা কিভাবে এটা পরিচালনা করি। নিজেদের এবং অন্যদের মধ্যে ঈর্ষা চিনতে শেখা আমাদের এটিকে আরও স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিচালনা করতে সাহায্য করে, এটিকে ধ্বংসাত্মক অনুভূতিতে পরিণত হতে বাধা দেয়। ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত উন্নতি হল হিংসা কাটিয়ে ওঠার সর্বোত্তম উপায়।

উপসংহারে, এটা স্বীকার করা অপরিহার্য যে হিংসা, যদিও নেতিবাচকভাবে দেখা হয়, মানব প্রকৃতির একটি অংশ। যদি আমরা বুঝতে পারি যে এটি নিরাপত্তাহীনতা থেকে আসে, তাহলে আমরা নিজেদের এবং অন্যদের প্রতি আরও বেশি সহানুভূতি গড়ে তুলতে পারি। উপরন্তু, এই অনুভূতি সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করা, যদিও অস্বস্তিকর, এটি গ্রহণ এবং বোঝার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

Por থেকে জুঁই মুর্গা

এই প্রবন্ধটি জর্জ এম. ফস্টার (১৯৭২) রচিত "দ্য অ্যানাটমি অফ এনভি: আ স্টাডি ইন সিম্বলিক বিহেভিয়ার" প্রবন্ধ থেকে অনুপ্রাণিত।